ক্রীতদাসীদের সাথে সেক্স

কোরআনে যেহেতু ক্রীতদাসীদের সাথে সেক্স করার কথা লিখা আছে সেহেতু কোরআন একটি অমানবিক ধর্মগ্রন্থ!

জবাব:

প্রথমত, কোরআনের কোথাও ক্রীতদাস প্রথার কথা লিখা নেই। ক্রীতদাস প্রথা সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। কোরআনে যুদ্ধবন্দীদেরকে রক্ষণাবেক্ষণ বা আশ্রয় দানের জন্য নিজের অধীনে রাখার কথা বলা আছে এবং কেউ চাইলে নারীদের সাথে সেক্স করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে তাদের সাথে সেক্স করা যেমন কর্তব্য বা পবিত্র কিছু নয় তেমনি আবার তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধেও কিছু করা যাবে না (২৪:৩৩)।
প্রকৃতপক্ষে তাদের সাথে কেউ সেক্স করতে চাইলে তাদেরকে বিয়ে করার জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে (৪:২৫)।
তবে যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারটা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে বিধায় তাদের সাথে সেক্স করার প্রশ্ন আর আসে না।

দ্বিতীয়ত, কোরআনে সেক্স এর কথা শুনলে কারো কারো মুখমন্ডল লজ্জায় ফেকাসে হয়ে যায় কেনো, সেটাও কিন্তু বোঝা যায় না। তারা সাধু-সন্ন্যাসী নাকি! নাকি তারা নতুন করে নৈতিকতার উপর ওহী পেয়েছে, যেখানে যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে সেক্সকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে! সেক্স অমানবিক কিছু না হলে যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে সেক্স করা অমানবিক হবে কেনো। কোরআনে যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে সেক্স নিয়ে কারো কারো লজ্জার সীমা নেই। এ যেনো মায়ের চেয়ে সৎ-মায়ের দরদই যেন বেশী!

অথচ কোরআনে দাস-দাসী ও যুদ্ধবন্দীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদেরকে মুক্ত করে দেওয়ার কথা বিভিন্নভাবে এবং বহুবার বলা হয়েছে। এও বলা হয়েছে যে, এটি একটি অত্যন্ত মহৎ কাজ (৯০:১২-১৩, ২:১৭৭, ৪৭:৪, ৯:৬০, ৫:৮৯, ৪:২৫, ৪:৯২, ২৪:৩৩, ৫৮:৩)।